একদিকে ব্যাংক ঋণের চড়া সুদ, অন্যদিকে বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত নগদ অর্থ নেই অনেক ব্যাংকে। ফলে, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি এখন ১০ বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে। যা মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। এ অবস্থা চলতে থাকলে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ২২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা বেড়ে সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকায়। আটকে থাকা ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তারল্য সংকটে অনেক ব্যাংকই ঋণ তেমন বাড়াতে পারছে না। এদিকে, কাঙ্ক্ষিত হারে আমানত না পাওয়ায় ঋণের সুদহার না কমে, উল্টো বাড়ছে। যার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিও কমছে।
চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত কয়েক মাস ধরেই ঋণ প্রবৃদ্ধির হার কমছে। চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ছয় ছয় শতাংশ। আগস্টে ১০ দশমিক ছয় আট শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় এখন ভেবেচিন্তে ঋণ দিচ্ছেন ব্যাংকাররা। এছাড়া সরকারের ঋণ নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতে এর প্রভাব পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার বিনিয়োগের জন্য বড় বাধা। এছাড়া বিনিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন অনেকে।
এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে না পারলে, শিল্পের উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা অর্থনীতিবিদদের।