ব্যাংক খাতে সোয়া লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বেশিরভাগই চক্রবৃদ্ধি সুদের অর্থ। তবে জানুয়ারি থেকে ঋণের সুদ গণনায় চক্রবৃদ্ধি হার আর থাকছে না। কার্যকর হচ্ছে ঋণের সরল সুদ ও এক অঙ্কের সুদহার। শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে খেলাপি ঋণ যেমন কমবে, তেমনি শিল্পায়নে গতি আসলে, বাড়বে কর্মসংস্থান।
ব্যাংক ঋণে চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে ব্যবসা চালাতে হিমশিম খান অনেক উদ্যোক্তা। প্রতি ৩ মাস পরপর মূল টাকার সঙ্গে সুদ যোগ করে ব্যাংক। তার ওপর আবার ধারাবাহিকভাবে সুদ আরোপ হতে থাকে। এতে একপর্যায়ে ব্যাংকে ওই ব্যবসায়ীর দায়-দেনা বেড়ে যায় অনেকগুণ।
বর্তমানে সোয়া লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের ৬০ শতাংশই সুদ। বাকিটা মূল ঋণ। চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণেই খেলাপি ঋণের বেশির ভাগই হয় সুদের টাকা।
খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকায় গত দেড় বছর আগে চক্রবৃদ্ধি সুদ বন্ধ এবং এক অঙ্কের সুদ হার বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশেষে এ নির্দেশনা কার্যকর করছেন ব্যাংকাররা।
বর্তমানে ঋণে সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। এর সাথে চক্রবৃদ্ধি সুদ হারের কারণে অনিচ্ছাকৃত খেলাপিচক্রে পড়ছেন প্রকৃত উদ্যোক্তাদের অনেকেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরল সুদ হারে খেলাপি কমবে। রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করাও সহজ হবে।
বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে সুদহার কমানোর পাশাপাশি, ঋণ পেতে উদ্যোক্তাদের জটিলতা দূর করার আহ্বান জানান বিশ্লেষকরা।