পুষ্টিগুনে ভরপুর ও প্রোটিনের সবচেয়ে সস্তা উৎস হল ডিম। ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেলস।প্রায় সব বয়সের মানুষের পছন্দের খাবার এই ডিম।প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়া ভাল।
আসুন জেনে নিই ডিমের কিছু পুষ্টিগুনঃ
শরীরের ভাল কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়: উচ্চ মাএার কোলেস্টেরল দেহের জন্য ক্ষতিকর – এমনটি অনেকে জানি। কিন্তু কোলেস্টেরলের আছে ভাল ও মন্দ দিক। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল আছে এটি সত্য। কিন্ত রক্তের কোলেস্টেরলের উপর এর সরাসরি কোন প্রভাব নাই। ডিম বা ডিমের কুসুম আমাদের রক্তে গুড কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের উন্নতিঃ উন্নত মস্তিষ্কের গঠনে ডিমের অনেক ভূমিকা আছে। ডিমে আছে কোলিন,যা মস্তিস্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
অ্যামাইনো এসিড : আমাদের দেহে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে ১১ টি আমাদের দেহ তৈরি করতে পারে। বাকি ৯ টি অ্যামাইনো এসিড পাওয়া জন্য খেতে হবে ডিম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিম সহায়তা করে। এতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি মানসিক স্তিরতা বাড়ায়।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে: ডিম প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি এর উৎস। এই ভিটামিন ক্যালসিয়াম গ্রহণে সহায়তা করে। এতে মজবুত হাড় ও দাঁত নিশ্চিত করা সম্ভব।
ত্বক ও চুল ভাল রাখেঃ ডিমে আছে ভিটামিন বি complex যা সুস্থ চুল, ত্বক, চোখ ও লিভার পেতে সহায়তা করে। এটি ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক ভিটামিন যেগুলো দেহের নার্ভাস সিস্টেম উন্নত করার পাশাপাশি মাংস পেশীর উন্নয়ন ঘটায়। একই সাথে এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
Cancer প্রতিরোধঃ ডিমে আছে ভিটামিন ই। এটি ত্বকে ও কোষে উৎপন্ন ফ্রি রেডিক্যাল নষ্ট করে দেয় সাথে স্কিন Cancer প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এত সব পুষ্টিগুনের আধার এই ডিম।তাই এলার্জির সমস্যা না থাকলে আপনার রোজকার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এই সুপারফুড।
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বগুড়া