শুধু বাজারে নয়, রাস্তায় চলতে ফিরতেও চোখে পড়ে এমন একটি খাবার হল বাদাম যা প্রায় সকলেই খেতে পছন্দ করেন। শারীরিক উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণের দিক থেকে দেখতে গেলে এই সস্তা খাবারটির কোন বিকল্প হয় না বললেই চলে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদামে উপস্থিত এমন কিছু উপাদান যা শরীরকে চাঙ্গা রাখে, পাশাপাশি একাধিক রোগকেও দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আসুন জেনে নিই বাদাম খাওয়ার কিছু উপকারিতা:
কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে : বাদামে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই, যা কোষের কর্ম ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। পাশাপাশি ত্বকে পুষ্টি জোগায়।ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে। ত্বকের বলিরেখা বিলম্বিত করে বা সাহায্য করে বার্ধক্যকে দূরে ঠেলতে।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাএা কমে : শরীরে যখন অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমে সেটা পরবর্তীতে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি বা ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন অল্প করে বাদাম খেলে বাদামে উপস্থিত কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল বিশেষ করে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) দূর করতে সাহায্য করে।
হাড়ের সুস্থতায়: বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করে এবং এর প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। একই সাথে কাঁচা বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড় গঠনে সাহায্য করে।
মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বাদাম জাদুকরী ভূমিকা পালন করে। বাদামে আছে ভিটামিন বি৩ যা মস্তিষ্ককে সুগঠিত করে। বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন অল্প করে বাদাম খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত। এটা ইন্সট্যান্ট IQ লেভেলকে অনেক সার্প করে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য: গর্ভবতী নারী বা বাড়ন্ত শিশুদের জন্য বাদাম ভীষণ জরুরী। কারন এতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সাহায্য করে। বাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশী গঠনে সাহায্য করে।
পুষ্টির ঘাটতি দূর করে: সহজলভ্য এই বাদামের শরীরে আছে ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট সহ ভিটামিন ই,ম্যাংগানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস। এই সবকটি উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একই সাথে একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: প্রতিদিন অল্প পরিমাণে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস কিছুটা হলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করে। বাদাম খাওয়ার পর ক্ষুধা অনেকটা কমে যায়, যা মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।
কাজেই প্রতিদিন বাড়তি টাকা খরচ করে অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে সস্তা এই খাবারটি কিনে খান, নিজেকে সুস্থ রাখুন।
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বগুড়া শাখা।