সিঙ্গাপুরে আরেক বাংলাদেশি নাগরিক নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে দুই বাংলাদেশির শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হলো।
আক্রান্ত ব্যক্তির নাম-পরিচয় না জানালেও কর্তৃপক্ষের দাবি, সেলেটার এরোস্পেস হাইটসে কাজ করতেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সী ওই প্রবাসীর শরীরে প্রথম এ ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি। পরে সোমবার সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজেস-এনসিআইডির আইসোলেশনে তাকে রাখা হয়। তিনি অনেক বছর ধরেই সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন।
এর আগে, রোববার প্রথম বাংলাদেশির শরীরে পাওয়া যায় করোনাভাইরাস। জানা যায় তিনিও সেলেটার এরোস্পেস হাইটসে কাজ করতেন।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে দি স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকা মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ জনে উন্নীত হওয়ার খবর জানায়। দেশটিতে এখন রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যাও বেড়ে দুজন হল।
এছাড়াও করোনাভাইরাসে নতুন অন্য যে রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিনি সিঙ্গাপুরেরই নাগরিক। ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একটি ক্যাসিনোয় কাজ করেন। তিনি থাকেন জোহর বারু এলাকায়।
তবে নতুন আক্রান্ত দুজনের কেউ সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেননি। অর্থাৎ সিঙ্গাপুরে থেকেই তারা অন্য কারো মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্ত হন।
বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। সিঙ্গাপুর ছাড়াও অন্য কোনো দেশে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ সিঙ্গাপুরে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। আরো দুজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এনিয়ে মোট নয়জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
গত ২৩ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ২৫টি দেশে আড়াইশর বেশি মানুষের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
চীনের প্রণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ালো। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১৩ জনে। আক্রান্ত হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৬ হাজার ৪৯৫ জন। যা মোট আক্রান্তের ১৭ শতাংশ। মঙ্গলবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশন এসব তথ্য জানায়।