প্রাণঘাতী কভিড-নাইন্টিনে ইতালিতে শনিবার ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭ ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৮২৫ জনে।
দিনের পর দিন দেশটিতে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। আতংকের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে জনমনে। এক মাস আগে ইউরোপের এই দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৫৭ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আগের দিনের চেয়ে শনিবার মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ, আগের দিন দেশটিতে মারা যায় ৬২৭ জন।
ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় লোম্বার্ডি এলাকার অবস্থা এখনও শোচনীয়। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৫১৫ জন, তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৯৫ জনের। শনিবার নাগাদ আক্রান্তদের মধ্যে ৬ হাজার ৭২ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। এদিন আইসিইউতে আছেন দুই হাজার ৮৫৭ জন, যেখানে আগের দিন ছিলেন দুই হাজার ৬৫৫ জন। সংক্রমণ রোধে ইতালির এই রাজ্যের বাসিন্দাদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে, বিশ্বে কভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ৩ লাখ ৬ হাজার।
গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে কভিড নাইন্টিনে ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির ৪৬ লাখ মানুষকে অবরুদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে। কুয়েতে আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে ১১ ঘণ্টার কারফিউ।
ভারতের আসামে প্রথমবারের মোট ৪ বছরের শিশুর দেহে মিলেছে এই ভাইরাস। গুজরাটে ১৪ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্তের পর রাজ্য জুড়ে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। বিস্তার রোধে রাজস্থানে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬শ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই নতুন করে সাড়ে ৬ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন করে দেশটিতে মারা গেছেন ৬০ জন। সেইন্ট লুইসের বাসিন্দাদের জন্য ৩০ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
চিলিতে কভিড-নাইন্টিনে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। উগান্ডায় প্রথমবারের মিলেছে কোভিড রোগী। ১৪ দিনের জন্য পুরো দেশ অবরুদ্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বলিভিয়া সরকার। বসনিয়ায় কোভিডে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিতের পর দেশটিতে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।