‘ ঘুম থেকে নামাজ শ্রেষ্ঠ ‘ জানান দিচ্ছিল ভোরের আযান।
হেনকালে রাক্ষস গুলো সদলবলে মুখ করিয়া ব্যাদান।।
ভয়ংকর করাল বোমাঘাতে শরীর বিদারিল।
মানুষ রূপী খর্বাকৃতি দানব শিখন্ডীর ন্যায় হুংকারিল।।
পেছন থেকে মারিল, ঘুমন্ত অবস্থায় সপরিবারে।
কি আছে কৃতিত্ব এমন নৃশংস সংসৌপ্তিক ব্যবহারে?
সাহস কি ছিল এমন কাপুরষদের হৃদ- মরুভূমিতে?
জাতির স্রষ্টা মহানায়কের সাথে সামনাসামনি যুদ্ধে?
কী আছে বীরত্ব বধে নিরীহ শস্ত্রহীন যোদ্ধাকে?
সপ্তরথী মিলে নিয়ম ভেঙ্গে অর্জুন-তনয় অভিমন্যু বধে?
অন্ধকারে চোরের মতো অশ্বত্থামা পাণ্ডব শিবিরে।
পৈশাচিক নিধন যজ্ঞ চালায় উন্মুক্ত তলোয়ারে।।
৭৫-এ বুলেটের আঘাতে সেদিন বঙ্গবন্ধু মরেনি।
বাংলার মানচিত্র হয়েছিল বিদীর্ণ, পেয়েছিল গ্লানি।।
বঙ্গবন্ধু স্বয়ং ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র।
সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ তাঁর পদচারণে হয়েছিল পবিত্র।।
মুক্তি সংগ্রামী হয়ে জন-হৃদয়ের একচ্ছত্র নেতা ।
স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে সর্ব্বজননন্দিত জাতির পিতা।।
তিনি বাংলাদেশের স্বয়ং ইতিহাস, মোক্ষম হাতিয়ার।
নীতি, আদর্শে ও কর্মনিষ্ঠায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার।।
ভ্রান্তচিত্ত বিপথগামী ওই জান্তব সামরিক কর্তারা।
বিবেক বর্জিত কার্যে হয়েছিল লিপ্ত,পশু হয়ে তারা।।
অন্যায়ভাবে চুপিসারে করেছিল সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাচিত্র।
রক্তে-স্নাত জাতির বিবেক, বিদীর্ণ ‘বাংলাদেশের মানচিত্র ‘।।