সুপ্রাচীনকালে ভারতবর্ষের ঐতিহ্য ও পরম্পরা।
কার্তিক-শুক্লাদ্বিতীয়াতে ভাইবোনের আনন্দ ধারা।।
সার্ব্বজনীন মঙ্গলব্রত ভ্রাতৃদ্বিতীয়া আন্তরিকতাপূর্ণ।
বাঙালির লোকজ ধর্মাচারণ,সদ্ভাবনায় মগ্ন।।
ধান-দূর্বা, পুষ্পাদি, কাজল, দইফোঁটা আর চুয়াচন্দন।
সাক্ষী থাকে পরিবার পরিজন, অগ্নি-শিখা অনির্বাণ।।
কপালে চন্দন তিলক,দধি,কজ্জ্বলের জয়-টিকা।
যাঁতি,বাতি,পূর্নকাঁদি রম্ভা,সুসংস্কারে মঙ্গল কামনা।।
ধান-দূর্বা-পুষ্পাদি মাথায় অর্পি প্রার্থনা করে ঈশ্বরে।
পূর্ণ সমৃদ্ধি ভাই যেন পায় দীর্ঘায়ু হয়ে চরাচরে।।
ভাইবোনের স্বর্গীয় স্নেহ-ভালবাসা হয় অতি নিখাঁদ।
ভ্রাতৃদ্বিতীয়া তাই শান্তি,সৌভ্রাতৃত্ববোধ, ঐক্যের প্রতীক।।
বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন নামে পালিত এ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
ভাইদুজ,ভাইবিজ,ভাইটিকা আর যমদ্বিতীয়া।।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা কথিত সুগাঁথা মৎস্যপুরাণে।
সুভদ্রা দেয় কৃষ্ণ-বলরামকে ফোঁটা,অমঙ্গল মোচনে।।
পারিবারিক ও সামাজিক সংহতি করতে পোক্ত।
ভাইয়েরা বোনকে বহু উপহার দেয়, বন্ধন করতে শক্ত।।