ওই গোধূলি লগনে সমীরণ বহে
শঙ্কা জাগে মনে
কি-জানি ধূসর লুটিয়ে
উত্তরখানি আবরণে ঢাকে।।
রক্তিম আভায় পাটে রবি
পান্হশালায় শ্রান্তি খোঁজে
নিরুত্তরে চলে পথে একাকী
তবু বাঁকে নাহি সময়ে রুখে।।
ঊষার প্রভায় আলোকিত দিবস
গোধূলি লগনে অস্তমিত রবি
প্রবাহমান কালে চলে সেও
অবশ্রান্তিতে নাহি কোথা রেখে।।
নীরব মনে প্রাণে চাহে
এই লগনে তরী বাটে মাঝি
আজি সুনয়নে অপলক দেখি
সজল-বীথিকারে খোঁজে।।
বিহগ ফিরে শান্ত মনে
নীড়ে চাহে বিরাম ভাবনা
কি রক্তিম আভার খোলসে
একাকী চিত্তে রেখাপাতে।।
আদুরে পরশে বৎস কোলে
জননীর মমত্বে বাঁধে
কি জানি শঙ্কা জাগায়
এ ধূসর পবনের ভাগে।।
হিমেল পরশে ডানা মেলে
শাবক উষ্ণতায় মাখে
অদূর শঙ্কা নিদারুণ অতি
নিরাশ্রয় করে ফাঁকে।।
দুরু দুরু কাঁপে হিয়া
স্মরে ভিখারি বেশে ঈশ্বরে
রক্ষা করো হে প্রভু
এই গোধূলি লগনের রাশে।।
এই লগনে অশনি সংকেত
পবনে ধায় বিদ্যুৎ চমকিত
কি জানি নামবে বাদল
তাড়িত করে শেষে ঝাঁকে।।