সৈয়দা আলতাফুন্নেছা চৌধুরানী ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে বগুড়া জেলার প্রাচীন ও সম্ভ্রান্ত নবাব পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতাঃ মরহুম আব্দুস সুবাহান চৌধুরী (বগুড়া জেলার একমাত্র নবাব) এবং মাতা মরহুমা তহরুন্নেছা চৌধুরী (বগুড়ার প্রসিদ্ধ জমিদারের কন্যা)।
মরহুমা আলতাফুন্নেছা চৌধুরী পিতা-মাতার একমাত্র আদরের দুলালী ছিলেন। তিনি একাধারে চার জমিদারের মালিকানা প্রাপ্ত হয়েছিলেন (প্রথমতঃ পিতা নবাব মরহুম আব্দুস সুবাহান চৌধুরীর পৈত্রিক মালিকানা, দ্বিতীয়তঃ মাতা মরহুমা তহরুন্নেছা চৌধুরী বিপুল সম্পত্তি, তৃতীয়তঃ খালা যুবায়দাতুন্নেছা চৌধুরী এবং মামা ছাওয়ার আলী চৌধুরীর সম্পত্তি। (এখানে উল্লেখ্য যে খালা যুবায়দাতুন্নেছা চৌধুরী এবং মামা ছাওয়ার আলী চৌধুরী নিঃসন্তান ছিলেন)।
মরহুমা আলতাফুন্নেছা চৌধুরী বাংলা, ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী এবং ব্যুৎপত্তিসম্পন্না ছিলেন।
খুব অল্প বয়সে আলতাফুন্নেছা চৌধুরী টাঙ্গাইল ধনবাড়ির জমিদার নবাব বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর তিনি স্বামীসহ পিতার গৃহে অবস্থান করতেন। ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তাদের ঘর আলো করে একমাত্র পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। নিজের (আলতাফুন্নেছা চৌধুরী) এবং স্বামি নওয়াব আলী চৌধুরীর সঙ্গে মিল রেখে পুত্রের নাম আলতাফ আলী চৌধুরী’র নাম রাখেন। ইহার কিছুকাল পর তাদের সংসারে আরও একজন কন্যা সন্তান জন্মলাভ করেন। তাহার নাম রাখেন লতিফুন্নেছা চৌধুরী। পুত্র-কন্যা শৈশব অবস্থায় রেখে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে আলতাফুন্নেছা চৌধুরী অকালে মৃত্যু বরন করেন।
পিতা মরহুম আব্দুস সুবাহান চৌধুরী, কন্যা আলতাফুন্নেছা চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে দুঃখে ভারাক্রান্ত হন। তিনি কন্যার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বগুড়া শহরের কেন্দ্রস্থলে জলেশ্বরীতলায় মরহুমা আলতাফুন্নেছার নামে জমি দান করেন। বর্তমানে এই খেলার মাঠটি বগুড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত।