সারিয়াকান্দির ছেলে ইংল্যান্ডে মেয়র

সারিয়াকান্দির ছেলে ইংল্যান্ডে মেয়র

ডা. মোহাম্মদ আলতাফুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. হোসনেআরা রহমান

বাবার স্বপ্ন ছেলে ডাক্তার হবে। মোহাম্মদ আলতাফুর রহমান বাবার সে স্বপ্ন পুরন করেই থেমে থাকেননি। সেই ষাটের দশকেই পাড়ি জমিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। ‘৭১ সালে ডাক্তার-বন্ধুদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে আবার ছুটে এসেছিলেন বাংলাদেশে। বর্তমানে ব্রিটেনের লেবার পার্টির একজন কাউন্সিলর তিনি। পালন করেছেন হিন্ডবার্ন শহরের মেয়রের দায়িত্ব। বগুড়ার সারিয়াকান্দির ছেলে হয়ে তাঁর হিন্ডবার্নের মেয়র বনে যাওয়ার গল্প এবারের মূল রচনায় বলেছেন আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ

ডা. আলতাফুর রহমানের জন্ম বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় দীঘলকান্দি গ্রামে, ১৯৩৮ সালে। মা মরহুমা সবুনুর নেসা এবং বাবা মরহুম আজিজুর রহমান তরফদার। ছয় ভাই বোনের মধ্যে আলতাফুর রহমান ছিলেন পঞ্চম। দীঘলকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শুরু হয় তাঁর লেখা পড়া। তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার সুযোগ ছিল। এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলতাফুর রহমান যখন নাম লেখান তখন গোটা ক্লাসে ছাত্র সংখ্যা ছিলো মোটে তিনজন। স্কুলে আসতে হতো কলার ভেলায় চড়ে। প্রাইমারি স্কুলের চৌকাঠ পেরিয়ে আলতাফুর রহমান ভর্তি হন সারিয়াকান্দি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই এসএসসি। তারপর রংপুর কারমাইকেল কলেজ।

এইচএসসি পাশ করার পর জীবনের লক্ষ ঠিক করার পালা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখন দারুণ সুনাম। আলতাফুর রহমানের ইচ্ছে ছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়ার। কিন্দু বাদ সাধলেন বাবা। ছেলের কাছে বাবার চাওয়া-

‘তোকে ডাক্তার হতেই হবে। ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবি। দশ গ্রামের মানুষ তোকে চিনবে। তবেই না আমার শান্তি।’

আলতাফুর রহমান বাবার কথা ফেলতে পারলেন না। বাবার আবদার রাখতেই ভর্তি হলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচে। সেটা১৯৫৮ সাল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বেশ ভালভাবেই উত্তীর্ণ হন তিনি এবং ওই বছরই প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন একই মেডিকেল কলেজে। কিন্তু স্রেফ ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করে থেমে থাকার মানুষ ছিলেন না আলতাফুর। ভাবছিলেন আরও বড় কিছু করার। সেই বড় কিছু করার স্বপ্ন বুকে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিলেন বিলেতযাত্রার।

গোড়া থেকেই প্রতিবাদী : আলতাফুর রহমান যখন কারমাইকেল কলেজের ছাত্র, তখনকার ঘটনা। পূর্ব পাকিস্তানের আইয়ুববিরোধী মনোভাব চাঙা। খবর এল, পাকিস্তানের মন্ত্রী ফজলুল বারী সারিয়াকান্দি আসবেন। আলতাফুর রহমান এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুললেন। তিনি ঘোষণা দিলেন বাঙ্গালি নদী পার হলেই তাঁকে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘোষণার পর মন্ত্রী তাঁর সফর বাতিল করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ার সময় তিনি সত্রিয় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভিপি নির্বাচিত হন। রাজশাহীতে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে মেডিকেল কলেজসহ ছাত্রসমাজের নেতৃত্ব দেন তিনি। পাক সরকারের বিরুদ্দে আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে ১৯৬৩ সালে তাঁকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়। এদিকে শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেখে তাঁর পরিবার বিচলিত হয়ে পড়ে। ফলে- পরবর্তী সময়ে আর কোনো আন্দোলনে থাকবেন না- মর্মে তাঁর বাবা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারকে মুচলেকা দেন এবং তিনি জেলখানা থেকে ছাড়া পান। বাবার কথা রক্ষার্থে ওই সময় তিনি আর কোনো আন্দোলনে জড়াননি।

মানুষের জন্য : এবার মাস-ছয়েক আগে রাজশাহীতে এল তাঁকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়কার স্মৃতিচারণা করেন। সেই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানেই তিনি প্রিয় শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের নামে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কৃতী শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর স্বর্ণপদক দেওয়ার রীতি চালু করার ঘোণা দেন। প্রতিবছর আন্যাটমি বিভাগের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে এই পদক দেওয়া হবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি রাজশাহীতে এল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। আর্তমানবতার সেবায় ছুটে বেড়ানো মানুষ আলতাফুর রহমান রাজশাহী শহরের সিটি করপোরেশনের অধীনে মিশু হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

ইংল্যান্ডে থেকেও দীঘলকান্দি গ্রামে জনপ্রিয় : আলতাফুর রহমান দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে গেছেন আজ ৩৪ বছর। গ্রাম ছেড়েছেন আরও আগে। এসএসসি পাস করার পর যখন রংপুর কারমাইকেল কলেজে যান, তখন থেকেই গ্রামের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগে ছেদ পড়ে। কলেজের পড়েছেন বড় ভাই খলিলুর রহমানের বাসায় থেকে। খলিলুর রহমান সে সময় পার্বতীপুরের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর চিলেন। সেই সুবাদে তিনিও ভাইয়ের বাসায় পার্বতীপুরেই থাকতেন। ডাক্তারি পড়েছেন রাজশাহীতে। ফলে ছাত্রাবস্থাতেই গ্রামের সঙ্গে তার যোগাযোগ তেমন ছিলো না। এখন দেশে আসারও সুযোগ হয় না খুব বেশি। তবু গ্রামের মানুষের কাছে আলতাফুর রহমান জনপ্রিয় এক মানুষ। ২১ মার্চ বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাঁর এই জনপ্রিয়তার কারণ। সাংবাদিক এসছে শুনেই কথা বলতে ছুটে এলেন গৃহবধু বিউটি। বিউটি জানালেন, মানুষটার (আলতাফুর রহমান) মনে খুব দয়া। আগে তাঁর স্বামী দিনমজুরের কাজ করত। এতে তাঁদের সংসার চলত না। এ অবস্থা দেখে ডা. আলতাফুর রহমান এসে তাঁর স্বামীকে একটা ভ্যানগাড়ি কিনে দেন। এখন সেই ভ্যানগাড়ি চালিয়েই তাঁদের সংসার চলছে। একই কথা গ্রামের বৃদ্ধা মেহেরুন্নেসার। নিজ থেকেই বললেন- যে কয় বছর পরই আসুক, এসই আলতাফুর রহমান তাঁর খোজখবর নেন। আলতাফুর রহমানের বড় ভাই খলিলুর রহমান বলছিলেন, ‘ও খুব মিশুক। মানুষের সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে মেশে। দেশে এলই গ্রামে গ্রামে ঘুরে সবার বাড়িয়ে যাবে। ভাঙা ঘরের ভেতরে গিয়ে মাটিতেই বসে পড়ে। গ্রামের মানুষ ওর কান্ড দেখে তাজ্জব হয়।’ ভাতিজা শোয়েব আলী দুলু বললেন, ‘মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যাওয়া, মানুষের সেবা করা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার অসাধারণ গুণ তাঁর মধ্যে রয়েছে। দেশে থাকলে তিনি একজন বড় নেতা হতেন। আজ তিনি দেশে থাকলে মানুষের উপকার হতো।’ সারিয়াকান্দি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক দীলিপ কুমার সাহা বললেন, ‘তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তাঁর সম্মানে একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন এবার আমরা করেছিলাম। তিনি এই স্কুলের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য দুই লাখ টাকা দিয়ে একটি বৃত্তি তহবিল গঠন করেছেন।’

তহবিলে টাকাও এর মধ্যে জমা হয়েছে। এ ছাড়া সারিয়াকান্দি মাদ্রসা ও সারিয়াকান্দি গার্লস হাইস্কুলেও মা-বাবা ও স্ত্রীর নামে বৃত্তি চালু করার ঘোষণা তিনি দিয়েছেন।

 

এবং একাত্তর : ১৯৭১। দেশে যুদ্ধ চলছিল। আলতাফুর রহমান লন্ডনে তাঁর ছয় বাঙালি চিকিৎসক বন্ধুকে নিয়ে একসঙ্গে বসলেন। সিদ্ধান্ত নলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওষুধ ও চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার। এঁরা হলেন ডা. মোহাম্মদ আলতাফুর রহমান, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ডা. কাজী কামরুজ্জামান, ডা. বরকত চৌধুরী, ডা. মাহফুজুল হক ও ডা. মোশারফ হোসেন। পরে এই ছয় চিকিৎসক-বন্ধু মিলে লন্ডনে গঠন করেন ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনাইটেড কিংডম’। এই সংগঠনের ব্যানারে লন্ডনে ওষুধ সংগ্রহ শেষে ভারতের হিলি সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন তাঁরা।

যুদ্ধের পর গ্রামের অনেক মানুষ যুদ্ধাহত হয়ে গ্রামে ফিরে আসে। অনেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। সেই সময় আলতাফুর রহমান লন্ডন থেকে ওষুধপত্র ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে এস সারা গ্রাম ঘুরে ঘুরে মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন। অসুস্থদের চিকিৎসা করেছেন।

ডাক্তার-পরিবার : বাবা আজিজুর রহমান তরফদারের ইচ্ছা পুরন করতেই সম্ভবত এখন আলতাফুর রহমানদের পরিবারজুড়ে ডাক্তারের ছড়াছড়ি। নিজের স্ত্রী ডাক্তার। ছেলেমেয়েরাও ডাক্তারি পেশায়। মেয়ের বরও ডাক্তার। এদিকে আলতাফুর রহমানের বড়ভাই খলিলুর রহমানের ছেলে এসআর তরফদারও ডাক্তারি পড়েছেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নাক কান গলা বিভাগের প্রদান। মেজো ভাই (সাবেক এসএসপি) জলিলুর রহমানের দুই মেয়ে জেবুন্নাহার ও মুন্নী ডাক্তারি পড়েছেন। জেবুন্নাহার চাচাতো ভাই ডাক্তার এস আর তরফদারকে বিয়ে করেছেন। মুন্নী বিয়ে করেছেন আরেক ডাক্তারকে। আবার মুন্নী প্রকৌশলী ভাইয়ের স্ত্রীও ডাক্তার।

ঘর সংসার : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে আলতাফুর রহমান আবার দেশে আসবেন। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন। চলতে তাকে পাত্রী দেখা। পছন্দ তাঁর ডাক্তার পাত্রী। শুধূ ডাক্তার হলেই চলবে না। হতে হবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজর চাত্রী। তিনি গেলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সঙ্গে তার ভাতিজা ডা. এস আর তরফদার ও ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিকের স্বত্বাধীকারী ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনজন মিলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে হটছিলেন। হঠাৎ মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীকে দেখে ভাল লেগে গেল আলতাফুর রহমানের। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল মেয়েটির নাম হোসনে আরা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। বাবা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধানশিক্ষক এবং আইম রসুলপুর ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী মন্ডল। মা সামেদা বেগম গৃহিণী। ব্যস, হয়ে গেল। বাজল বিয়ের সানাই। বিয়ের পরপরই সস্ত্রীক তিনি চলে গেলেন আবার লন্ডন। পরে স্ত্রী হোসনে আরা সেখানেই তাঁর ডাক্তারি পড়াশুনা শেষ করেন। এখন সহধর্মিনী ডা. হোসনেআরা রহমান ইংল্যান্ডের হিন্ডবার্ণ সিটিতে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁদের একমাত্র মেয়ে হেলেন রহমানও ইংল্যান্ডে ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত। একমাত্র ছেলে আশিকুর রহমান সরকারি চাকুরিজীবী। হিন্ডবার্ণে তিন একর জমির উপর তাঁদের বাড়ি। বাড়ির বাগানে ডা. হোসনে আরা রহমান নিজ হাতে সব ধরনের সবজি চাষ করেছেন।

বন্ধুরা সব : রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়কার আলতাফুর রহমানের পাঁচ বন্ধু এখনো আছেন রাজশাহী শহের। এঁদের মধ্যে নগরীর হোসেনীগঞ্জ এলাকায় থাকেন অধ্যাপক আবদুল কাদের, কাজীরগঞ্জ এলাকায় থাকেন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম, হোতেম খাঁ এলাকায় ডা. আনোয়ার হোসেন, ছোট বনগ্রাম অধ্যাপক শহীদুল্লাহ ও সিপাইপাড়া এলাকায় থাকেন ডা. খাজা নূরুন্নবী। সম্প্রতি ছোট বনগ্রামের বাড়িতে কথা হয় অধ্যাপক শহীদুল্লাহর সঙ্গে। পেশা থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। ডা. আলতাফুর রহমানের কথা তুলতেই অপূর্ব এক হাসিতে তাঁর মুখমণ্ডল উজ্জল হয়ে উঠল। খুশিতে গদগদ হয়ে কথা বলতে শুরু করলেন. ‘যুদ্ধের মধ্যে হঠাৎ আমার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আলতাফুর উপস্থিত। আমরা তো অবাক। চারিদিকে গোলাগুলি। আলতাফুর বলল ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে এসছে।’ শেষে জানালেন, ‘এখনো রাজশাহীতে এলই গাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বলে লন্ডনে আসেন, যাওয়ার পর সব খরচ আমার…।’

বগুড়া ট্রিবিউন আর্কাইভ

খবরটি শেয়ার করুন...

Comments are closed.




© All rights reserved © 18-2023 boguratribune.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com