‘হলুদ হিমু এবং মেরুদণ্ডহীন যুব সমাজ’

‘হলুদ হিমু এবং মেরুদণ্ডহীন যুব সমাজ’

ডা: এস হক সজীব

হলুদ পাঞ্জাবি, খালি পা, কাধে ঝুলানো একটা নমনীয় ব্যাগ, পকেটে কোন টাকা নাই। এই ব্যাক্তির কাজ হলো পথে পথে হাটা। আর ভিক্ষাকারীদের খাবারে ভাগ বসানো। রাত্রিতে কোন একটা ফ্রি হোটেল এ রাত্রি যাপন। বাঁকি দোকানে চা খাওয়া আর মাঝে মাঝে প্রেমিকার কাছে হাত পাতা।অহ হ্যা আর একটা কাজ সে করে – বলদ শ্রেনির আমলা এবং ডিফেন্সের কিছু বোকা মানুষ কে জাদুর বলে ( মেন্টাল কনফিউজড থেরাপি) কারিশমা দেখানো।ভন্ড পীরের তরিকার মত। বলছিলাম, হুমায়ুন স্যার এর অনবদ্য জাদুকরী চরিত্র জনাব হিমুর কথা। একটা তরুন সমাজ কে প্যারালাইজড করে দেবার জন্য আর কি লাগে। সমরেশ মজুমদার রা যখন কালবেলা, কালপুরুষ উপন্যাস রচনা অথবা দীপাবলীর মত চরিত্র উপস্থাপন করতেন, যেখানে গরীব /ধনীর ছেলেদের অথবা পাড়া গায়ের বাল্যবিবাহ হওয়া মেয়েটার কন্টক পথে হেটে, প্রতিস্ঠিত হবার বাস্তব সম্মত ঘটনার উপস্থাপন, তখন বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম কে মুখড়চক অলস শুধুমাত্র কল্পনা বিলাসি জীবনের সপ্ন দেখিয়ে মেরুদণ্ডহীন করে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ের পেছনে ছিলো অর্থের হাতছানি। কাদামাটিতে গড়া নরম মানসিকতার মানুষ গুলোর চিন্তাভাবনা কে জাদুবিদ্যার প্রয়োগে সেন্ট্রাল নারভাস সিস্টেমে যে কল্পনাবিলাসি তাসের জীবনের মোহ গেড়ে দিতে সস্তা সাহিত্যের চরচা করা হয়েছে তা অবশ্যই দোষনীয়।।। ফলাফল হলো – বাংলাদেশের তরুনেরা, তরুন তুর্কি হবার সপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়ে বিকারগ্রস্থ, ঘুম কাতুরে, অলস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিহীন পনগু জাতির পথে। বাংালী জাতি অতি প্রাকৃতিক বিষয়ের গল্পে সহজেই বোকা সেজে যায়।ক্ষেত্র বিশেষ এ জেনেবুঝেউ মজা পায়।এই সস্তা মজার ১৪ কোটি মানুষের মারকেট ধরার জন্যই এই সব নিরব ঘাতক হলুদ চরিত্র। পথভ্রষ্ট সেই সব তরুন তরুনীদের ফেরানোর জন্য মডিফিকেশন থেরাপির আজ আশু প্রয়োজন। বংগবন্ধু, বীর ঊত্তম জিয়া, খালেদ মোশাররফদের মত দুনিয়া কাপানো সেই বীরদের উত্তরসূরি কি হলুদ পাঞ্জাবির হিমু চরিত্রের এই আমরা???প্রশ্নটার উত্তরভেবে দেখবেন, তদুপরি নিজেদের ব্রেন এর সফটওয়্যার এ মডিফিকেশন ডাটা আপলোড দিবেন।।।আর বুকে ধারন করবেন বাংালী বীরদের সেই অনবদ্য কাব্যগুলো ” বাংলাদেশ জীবিত গেরিলা চায় না ” অথবা “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম ” অথবা কবি নজরুলের “কারার ওই লৌহ কপাট /শেকল ভাংার গান”!!! আপনাদের সকলের উপর শান্তি বরষিত হোক।

ডাঃ সজিব হক শিক্ষক, লেখক ও গবেষক

খবরটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 18-2023 boguratribune.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com