রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় —
এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
ও বললে, “থাক্, এখন যাও ও দিকে।”
সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;