জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে টাইগাররা। রেকর্ড গড়া ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ২১ রানে। সৌম্যের দারুণ শুরুর পর সাকিব মুশফিকের রেকর্ড পার্টনারশিপ আর মাহমুদুল্লাহ-সৈকতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে মুস্তাফিজ-সাইফুদ্দিন-সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩০৯ রানে থামে প্রোটিয়ারা। অলরাউন্ডিং পারফরমেন্স বিশ্বকাপে প্রথমবার ম্যাচ সেরা হলের সাকিব।
দুই যুগ আগে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অভিষেক। নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপে আবারো গ্রেট বৃটেনে বাংলাদেশ। ওভালে কন্ডিশনের সাথে দর্শক সমর্থনও মাশরাফীদের পক্ষে।
টস হেরে লাভ হয়েছে বাংলাদেশের। ফ্ল্যাট উইকেটে দারুণ শুরু দুই ওপেনারের। ট্রাইনেশনের ধারাবাহিকতা সৌম্যর ব্যাটে। পরিস্থিতি বুঝে চাহিদা মিটিয়েছেন তামিম। এই জুটিতে অবদান ৬০ রান।
সাকিব-মুশফিক দলের কান্ডারি। দুজনের রেকর্ড পার্টনারশিপে স্কোর দুইশ৷ এটি ছিলো দুজনের পঞ্চম শতরানের জুটি। সেঞ্চুরি না পেলেও খেলেছেন সত্তরউর্ধো ইনিংস।
সাকিব-মুশফিকের দেখানো পথে হেটেছেন অন্য ব্যাটসম্যানরা। মিঠুনের ২১, মাহমুদুল্লাহর ঝোড়ো ৪৬ আর মোসাদ্দেকের ২৬ ক্যামিওতে ওডিআই ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর। বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করা ৩২২ রান এখন অতীত।
৩৩১ টার্গেট যেকোন দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করামকে হারিয়ে চাপ বেড়েছে সাউথ আফ্রিকার। ক্যাচ মিস করেও দারুন রানআউটে প্রায়শ্চিত্ত করেন মুশফিক। মার্করামকে ফিরিয়ে ওডিআইতে দ্রুততম পাঁচ হাজার রান ও আড়াইশ উইকেটের ডাবল কীর্তি গড়েন সাকিব।
ডু প্লেসিকে ৬২ রানে আটকে রাখার অবদান মিরাজের। ফিল্ডিং নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি। ডেভিড মিলারের পরপর দুই ক্যাচ হাতছাড়া করে চাপ বাড়িয়েছে ফিল্ডাররা৷ পরে অবশ্য ফেরানো গেছে।
এরপর আস্কিং রান রেটের সাথে চাপ সামলাতে পারেননি ফন ডার ডুসন, জেপি ডুমিনি, ফেলাকুয়ো।