টনটনে রেকর্ড গড়ে জিতল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩২১ রান হেসে খেলে টপকে গেছে টাইগাররা। ৮.৩ ওভার হাতে রেখে বাংলাদেশের জয় ৭ উইকেটে।
৫২ রানের ওপেনিং জুটি এবং এরপর সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিং দুয়ে মিলে শুরু থেকেই রান তাড়ার কাজটা সহজ করে তোলে বাংলাদেশ। সৌম্য ২৯ আর তামিম ৪৮ রানে আউট হলেও সাকিব তার ফর্ম ধরে রেখে এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে। ওডিআইয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ছয় হাজার রান পূরণ করার পর আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। আর শেষপর্যন্ত এই ম্যাচে প্রথম সুযোগ পাওয়া লিটন অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে। এবারের বিশ্বকাপেই এই প্রথম ৩০০ রানের উপরে তাড়া করে জয় পেল কোন দল। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নামে উইন্ডিজ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নামে উইন্ডিজ। চতুর্থ ওভারে বিপজ্জনক ক্রিস গেইলকে শূন্যতে ফেরান সাইফুদ্দীন। এ নিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার ম্যাচে দুবারই শূন্যতে আউট হলেন বিধ্বংসী এই ওপেনার। শাই হোপকে সঙ্গে নিয়ে উইন্ডিজের রানের চাকা সচল রাখেন এভিন লুইস। বাংলাদেশের জন্য ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠা ১১৬ রানের এই জুটিতে আঘাত করেন সাকিব। দুই ছক্কা ও ছয় চার দিয়ে সাজানো ৭০ রানের ইনিংস খেলেন লুইস। ২৫ রানে পুরানকেও ফেরান সাকিব।
২৬ বলে ৫০ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের স্কোর বড় করতে সাহায্য করেন হেইটমেয়ার। তবে উইন্ডিজ দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। একই ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া শিকার হয়ে ফেরেন হেইটমেয়ার ও আন্দ্রে রাসেল। ক্রিজে গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে থামান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১৫ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারি মেরে ৩৩ রান করেন হোল্ডার। এক প্রান্ত আগলে রাখা শাই হোপকে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দিলেন না মোস্তাফিজ। এক ছয় ও চারটি বাউন্ডারিতে ৯৬ রানে ফেরেন হোপ। সবশেষে ব্রাভো ১৫ বলে ১৯ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন তিনটি করে উইকেট নেন।
টাইগার একাদশে একটি পরিবর্তন, মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় খেলছেন লিটন দাস। অন্যদিকে উইন্ডিজ একাদশে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের পরিবর্তে খেলছেন ড্যারেন ব্রাভো। চার ম্যাচে এক জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচের পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে বাংলাদেশ। সমান তিন পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে ছয়ে আছে উইন্ডিজ। সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে বাকি পাঁচ ম্যাচে অন্তত চার জয় চাই বাংলাদেশের।