বহু গুণে গুণান্বিত উদ্ভিদ অ্যলোভেরার ভেষজ গুণের শেষ নাই। এতে আছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ,ফলিক এসিড, জিংক, ভিটামিন এ, বি২, বি৬ ইত্যাদি। আসুন জানি এই জুস পানের উপকারীতা:
হজম শক্তি বাড়াতে অ্যলোভেরা জুসের কোন জুড়ি নাই।এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে।যা হজম শক্তি বাড়ায়।
হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জুস।অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাএা কমিয়ে দেয়। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে দেয় এবং রক্ত কনিকা বৃদ্ধি করে থাকে।
মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যাথা প্রতিরোধ:
অ্যলোভেরা মাংসপেশীর ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি ব্যথা স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়।
দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশমে এই জুস বেশ উপকারী পাশাপাশি কোন ধরনের ইনফেকশন থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই জুস পানে দাঁতের খয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওজন কমাতে অ্যালোভেরা জুস বেশ কার্যকরী।ক্রনিক প্রদাহের কারনে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে। খাওয়ার আগে বা পরে এই জুস পান করা যায়। নিয়মিত এ জুস পানে ডায়বেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানি।এর অ্যান্টি- ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রন হওয়ার প্রবনতা কমিয়ে দেয়। ত্বককে করে মসৃণ।
এত সব উপকারীতার পাশাপাশি চুলের যত্নেও অ্যালোভেরা বেশ কার্যকরী। এটি চুল পড়া কমায় সাথে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে করে তোলে ঝলমলে।
কাজেই এত সব উপকার পেতে সাথে রাখতে পারেন বহু গুনের এই উদ্ভিদটিকে।